আমি গ্রামে বাস করি বলে প্রায়ই বাল্যবিয়ের ঘটনা নজরে আসে। এ যেন এক নির্মম বাস্তবতা!
একদিন শুনতে পাই আমার প্রতিবেশি এক চাচাত বোনের বিয়ে ঠিক করা হয়েছে। তার বয়স মাত্র ১৫ বছর, আমার চেয়েও দেড় বছরের ছোট। মেয়েটা খুবই মেধাবী। প্রাতিষ্ঠানিক ফলাফলেও সে এগিয়ে রয়েছে।
তার বিয়ের খবর জানার পর আমি তাকে প্রশ্ন করি, “তুমি না জেএসসিতে এ প্লাস পাইছো, তাহলে বিয়ে কেন? পড়াশোনা করবা না আর?”
সে তখন আমাকে বলছিল, পড়াশোনা এগিয়ে নিতে চান না তার বাবা মা। বাবা-মায়ের বিপক্ষে যাওয়াটাও তার পক্ষে কঠিন।
যখন সে কথাগুলো বলছিল আমি কিছুক্ষণ মাটিতে তাকিয়ে ছিলাম। কথায় কথায় আরও জানতে পারি, শুধু মায়ের উপার্জনেই চলে তাদের পরিবার। এই স্বল্প আয়ে দুজনের পড়াশোনার ভার নেওয়া তার মায়ের জন্য কষ্টকর। তাই বিয়েটাকেই শেষ ভরসা মনে করা হচ্ছে।
পরে তার মায়ের সঙ্গে কথা বলি আমি। তার মাকে বোঝানোর চেষ্টা করি যে, শিশুদের বিয়ে দেওয়া হলে মৃত্যুর ঝুঁকিও তৈরি হয়। এছাড়াও দেশের প্রচলিত আইন নিয়েও অবগত করি।
আসফিকুর রহমান আসিফ (১৬), গাইবান্ধা