যে বয়সে শিশুরা বই, খাতা, পেন্সিল নিয়ে স্কুলে যাওয়ার কথা সেই বয়সে শিশুকে নেমে পড়তে হয় জীবিকার সন্ধানে। শুধু দরিদ্রতার কারণে শিশুশ্রম হচ্ছে না। অভিভাবকের স্বল্প শিক্ষা ও শিশুশ্রমের কুফল সম্পর্কে অসচেতনতাও অন্যতম কারণ।
তারা ভাবেন পড়াশোনা করে কী হবে। সে তো চিকিৎসক, প্রকৌশলী কিংবা আইনজীবী হতে পারবে না। তাকে দিয়ে কিছুই করানো যাবে না। শ্রমিকই হবে, বরং এখনই উপার্জন শুরু করুক। এভাবে তাদের স্কুলে পাঠানো এক সময় বন্ধ করে দেন ওই অভিভাবকরা। এ অবস্থায় বয়সের কথা বিবেচনা না করে বাবার পেশায় বা অন্য কোনো পেশায় সন্তান নিয়োজিত হয়ে যায় আয়-রোজগার করতে। অভিভাবকরা একে লাভজনক মনে করেন।
এজন্য স্কুলে যাওয়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত বা ঝরে পড়ে অনেক শিশু।
বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ কাজেও দেখা যায় কোমলমতি শিশুদের। ছোট কাঁধে সে বড় বোঝা নিতে শিখে যায়। তার শারীরিক কিংবা মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে ভাবার যেন কেউই নেই!
শিশুদের স্বল্পমূল্যে দীর্ঘক্ষণ কাজে খাটানো যায় বলে অনেক নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানও শিশুদের কাজে নেওয়ার বিষয়ে অতি উৎসাহী থাকে। অনেক সময় তারা বলে, শিশু তার এখানে কাজ শিখবে যা তার ভবিষ্যতে কাজে লাগবে।
আমি মনে করি সমাজের সচেতনতা প্রয়োজন। শিশুর শৈশব নষ্ট করার অধিকার কারোরই নেই। শিশুর জন্য সুন্দর একটি পরিবেশ তৈরি করে দেওয়া আমাদের সকলেরই দায়িত্ব।
তাজুল ইসলাম ছামি (১৫), সিলেট