Opinions Stories About Engagement Reports Join Now
Join U-Report, Your voice matters.
STORY
কোথায় অবদান রাখেনি নারী?

নারী মানেই হলো ঘরে থাকবে, সংসারের কাজ করবে, সন্তান লালন পালন করবে-এসবই তাদের দায়িত্ব। কিন্তু সময় বদলেছে, মানুষের চিন্তা ধারায় পরিবর্তন এসেছে অনেকটাই।

মানুষ বুঝতে শিখছে যে, নারীরাও অধিকার সম্পর্কে সচেতন হচ্ছে। এখন নারীরা ঘরে-বাইরে সমানতালে কাজ করছে। কর্মক্ষেত্রে পুরুষের সঙ্গে কাজ করে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে আমাদের সমাজ ও দেশের অর্থনীতিকে।

চিকিৎসক, বৈমানিক, বিচারপতি, আইনজীবী, প্রশাসন- সব জায়গায় এখন নারীরা সরব। তবে নারীকে এখনো তার যোগ্যতার পরিচয় দিতে হলে পুরুষের চেয়ে দ্বিগুণ পরীক্ষা দিতে হয়। অনেক বাধা পেরিয়ে সামনে আসতে হয়। তবে কেউ কেউ সাহস করে এগিয়ে আসে সবার আগে।

বাংলাদেশের প্রথম নারী বৈমানিক কানিজ ফাতেমা রোকসানা এমন একটা সময়ে বৈমানিক হয়েছিলেন যখন বাংলাদেশের মানুষ একজন নারীকে বিমানের ককপিটে ভাবতে পারত না। তাকে নিশ্চয় কম কাঠখড় পোড়াতে হয়নি। তিনি অগ্রপথিক হয়েই থাকবেন সবার কাছে।

পড়াশোনায় যে মেয়েরা পিছিয়ে তা কিন্তু নয়। মেয়েদের মেধাবয় দুর্বল বলার কোনো সুযোগই নেই। পাবলিক পরীক্ষার ফলাফলে প্রায়ই দেখা যায় পাশের হারে এগিয়ে আছে মেয়েরা। 

শুধু তাই নয়, নিজেদের স্কুল কলেজগুলোতেও প্রত্যক্ষ করা যায় মেয়েরা পড়াশোনার প্রতি কতটা আগ্রহী এবং কতটা ভালো করছে। 

তবুও এক শ্রেণির মানুষ আছে যারা এটা মানতে নারাজ যে, নারীরাও আমাদের দেশের অগ্রগতিতে ভূমিকা রাখছে। সভ্যতা বিকাশে নারী ও পুরুষ উভয়েরই সমান অবদান আছে। 

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ভাষায়, "বিশ্বের যা কিছু মহান সৃষ্টি চিরকল্যাণকর, অর্ধেক তার করিয়াছে নারী অর্ধেক তার নর।"

নারীকে স্বীকার করার মানসিকতা প্রয়োজন এখন। নারীদের অগ্রগতি ছাড়া দেশকে এগিয়ে নেওয়া সম্ভব না। কোনোকিছু অর্জনই তো করতে হয় সম্মিলিত প্রচেষ্টায়। তাহলে লিঙ্গ বিবেচনায় নারীদের কীভাবে বাদ দেই আমরা?

ফারজানা মীম (১৫), ঢাকা

See by the numbers how we are engaging youth voices for positive social change.
EXPLORE ENGAGEMENT
UNICEF logo