শিশুরাও নানা ভাবে এর সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে। কিন্তু প্রযুক্তির যেমন ইতিবাচক দিক রয়েছে তেমনি নেতিবাচক দিকও রয়েছে। আর শিশুরা এর নেতিবাচক দিকের প্রতি বেশি ঝুঁকে পড়ে বলে আমার ধারণা।
এই যেমন মোবাইল ফোন। দিন ব্যাপী শিশুদের ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা নিশ্চয়ই নেই! কিন্তু তারা এটাই করছে। বোঝাই যায় এতে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার বেশ আশঙ্কা রয়েছে।
আমি অনেককে দেখেছি যাদের গেইমসে আসক্তি রয়েছে। আসক্তি তো সেটাই, যা সে অনিয়ন্ত্রিতভাবে ব্যবহার করে। তাকেই যেন নিয়ন্ত্রণ করছে মোবাইল ফোন।
বাড়ন্ত বয়সে আকর্ষণ জন্মায়, তারপর সেটি আসক্তিতে রুপ নেয়। তারা একটা সময় পরিবার ও সমাজ থেকেও বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। নিজেদের জন্য যে সময় ব্যয় করে তা নয়, সময় নিয়ে নেয় গেইমস।
জীবনে সুস্থ ও সুন্দরভাবে বেঁচে থাকতে একটা শৃঙ্খল জীবনযাপন করতে হয়। কিন্তু এভাবে সময় অপচয় করে এবং নিজের দিনলিপিলে উল্টে পাল্টে দিলে সেটা সম্ভব নয়। রাত জেগে হয়ত আনন্দ পাওয়া যাচ্ছে কিন্তু এতে স্বাস্থ্যের ওপর পড়বে প্রভাব। পড়াশোনাসহ কোনো কাজেই ঠিকঠাক মন বসানো কঠিন হয়ে পড়বে।
শিশুদের নিজেদের যেমন সচেতন হওয়ার বিষয় রয়েছে, ঠিক তেমনি অভিভাবকদের দায়িত্বও রয়েছে শিশুদের নজরে রাখা। তাদের সঙ্গে কঠোর আচরণ নয়, সহানুভূতির সঙ্গে প্রতিটি বিষয় মোকাবেলা করা।
তাজুল ইসলাম ছামি (১৫), সিলেট