গেল বছরের সেপ্টেম্বরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হয়। শুরু হয় স্বশরীরে ক্লাস। অনুষ্ঠিত হয় এসএসসি এবং এইচএসসি পরীক্ষা।
পরিস্থিতি আবার আগের মতোই লক্ষ্য করা যাচ্ছে। স্বাস্থ্যবিধির কাড়াকাড়ি ও নানা বিধিনিষেধ আরোপ করছে সরকার। লকডাউন দেওয়া হবে কিনা এটা নিয়েও ভাবছে অনেকে। আগের মতো অবরুদ্ধ পরিস্থিতি হলে অর্থনৈতিকভাবে অনেকেই এবার এটি কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হবে না। আগের ধাক্কায় সেই সক্ষমতা অনেকেরই আর নেই। তাই এটি বেশ উদ্বেগ তৈরি করেছে।
শিক্ষার্থীদের টিকাদানে জোর দেওয়া হয়েছে। একটি সংবাদে দেখলাম শিক্ষা মন্ত্রণালয় সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যাতে বন্ধ না করতে হয়। কেননা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের ক্ষতিও কাটিয়ে ওঠা হয়ত সম্ভব না। যে পরিমাণে শিশুর বিয়ে হয়েছে এবং শিশুশ্রমে যুক্ত হয়েছে শিশুরা, এর খেসারতই অনেক দিন ধরে দিতে হবে বাংলাদেশকে।
শুধু যে বাংলাদেশে করোনাভাইরাস পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে তা নয়, বিশ্বব্যাপি দেখা যাচ্ছে একই অবস্থা। সতর্ক করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও। তবুও আমাদের মধ্যে এবার যেন স্বাস্থ্য সুরক্ষার সচেতনতা একেবারেই নেই। এভাবে চলতে থাকলে হয়ত লকাডাউন বা শাটডাউনের মতো বাস্তবতা অনিবার্য হয়ে পড়বে। যা আমাদের কারোরই কাম্য নয়।
বিজয় দে (১৭), বাগেরহাট