আমার ফল প্রকাশের দিন দেখলাম অনেকে হেসেছে আনন্দের হাসি, আবার অনেকের চোখ বেয়ে পড়েছে বিষাদের অশ্রু। এই হাসি-কান্নার পেছনে ছিল জিপিএ পাঁচ। জিপিএ পাঁচ ছাড়া কাউকে যেন আর খুশি হতে দেখা যায় না।
আমাদের দেশের বেশিরভাগ মানুষ পরীক্ষার ফলের ক্ষেত্রে কৃতকার্য হওয়া নিয়ে যতটা না ভাবে, তার চেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয় জিপিএ পাঁচ নিয়ে। তাদের একমাত্র ভাবনা যেন এটিই। অনেক ক্ষেত্রে ভালো পরীক্ষা দিয়ে ৪.৮৬ বা এর কাছাকাছি নম্বর পেলেও জিপিএ পাঁচ না পাওয়ায় শুনতে হয় তিরস্কার।
এভাবে আমাদের অজান্তেই ধারণা তৈরি হচ্ছে, জিপিএ পাঁচ মানেই সব। এই মনোভাবের ফলে শিক্ষার্থীরা যেমন প্রচুর চাপের মধ্যে দিয়ে দিন কাটায়, তেমনি ক্ষতিগ্রস্ত হয় তাদের মনোজগৎ।
আমরা কিছুদিন আগেই দেখলাম বুয়েটের ২০ শিক্ষার্থীর ফাঁসির রায় হয়েছে। তারা নিঃসন্দেহে সবাই ভালো শিক্ষার্থী, কিন্তু তারা যে ভালো মানুষ নয় তা ওই ঘটনার মধ্য দিয়ে প্রকাশ পায়। ভালো ফলাফল করলেই যে একটি মানুষ নৈতিকভাবে শক্তিশালী হবে তা নয়। তাই শিশুদের সঠিক মানুষ হওয়ার শিক্ষা দিতে হবে। তথাকথিত ভালো ফলাফলের পেছনে ছোটা বন্ধ করতে হবে। ভালো ফলাফল অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ কিন্তু তার চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ ভালো মানুষ হওয়া।
আনিকা আকরাম অর্পি (১৬), কিশোরগঞ্জ