দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আপাতত বন্ধ রয়েছে। অনেকেই চলে যাচ্ছে নানা বাড়ি, দাদা বাড়ি বা অন্য কোথাও। কেউ কেউ দিব্যি ঘুরোঘুরি করছে, মাঠে খেলতে যাচ্ছে, বনভোজন করছে। যদিও খবরে দেখলাম শিক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, স্কুল বন্ধ মানে ‘ছুটি’ নয়, রাস্তায় ঘুরতে দেখলে তাদের বাড়িতে পাঠানোর ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
বৃহত্তর স্বার্থে এই জিনিসগুলো আমাদের মেনে চলা উচিত। প্রশাসনের পক্ষে কখনোই সম্ভব না যদি না আমরা সহযোগিতা করি।
করোনাভাইরাস নিয়ে গণমাধ্যমে চিকিৎসকদের বক্তব্য থেকে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানতে পেরেছি। তবুও একটু খোলামেলা জানতে আগ্রহ জন্মে আমার মধ্যে। তাই হ্যালোর পক্ষ থেকে যোগাযোগ করি বগুড়ার ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজির অধ্যক্ষ ডা. মহসান আলী ফকিরের সঙ্গে। তিনিও সময় দেন আমাকে।
ডা. মহসান বলছিলেন, “করোনাভাইরাস বাতাসে কয়েক ঘণ্টা সক্রিয় থাকে। অনেক পরেও ওই ভাইরাস শরীরে সংক্রমিত হতে পারে। শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকে। তাই খুব প্রয়োজন ছাড়া শিশুদের বাইরে যাওয়া ঠিক নয়।
“রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার জন্য টাটকা ফল, মধু, মুরগির মাংস, যকৃত, ডিমের কুসুম, শস্য জাতীয় খাবার ও মাছ খাওয়ানো যেতে পারে।”
ডা. মহসিন হাত ধোয়ার উপর জোর দিয়ে বলেন, “ঘরে থাকলেও বারবার সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে।”
তার কথাগুলো আমি মেনে চলার চেষ্টা করছি। ভাইরাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে আছি বলেই ধরে নিয়েছি। নিজের সুস্থতার জন্য কোনো আপস নয়।
আবির রহমান বিপ্লব (১৭), বগুড়া