সম্প্রতি হ্যালোর সঙ্গে কথা হয় এই সাইকেল বালিকাদের।
জানা যায়, রাস্তা-ঘাটের দুর্দশা আর উত্যক্তের আতঙ্কে থাকে ওরা।
তবে সব বাধা পেরিয়ে স্কুলে যাতায়াত করছে সাইকেলে চেপে।
জেলা শহর থেকে ৩৫ কিলোমিটার দূরের পাকুন্দিয়া উপজেলার এ মেয়েরা প্রয়োজনের তাগিদেই শুরু করে সাইকেল চালানো। অথচ নিজেদের অজান্তেই এখন তারা নেতৃত্ব দিচ্ছে পুরনো চিন্তা ও কুসংস্কারের বিরুদ্ধে সংগ্রামের।
মেয়েদের এ লড়াই-সংগ্রামের নেপথ্যে থেকে উৎসাহ দিয়ে চলছে চরটেকি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়। শুধু মেয়েদের সাহসী করা নয়, লেখাপড়াতেও দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে প্রত্যন্ত গ্রামের এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি।
গত নয় বছরে উপজেলা পর্যায়ে একাধিকবার প্রথম স্থান অর্জনকারী স্কুলটি ২০০৭ সালে পুরো জেলায় প্রথম হয়ে সবাইকে তাক লাগিয়ে দেয়।
প্রধান শিক্ষক মো: আমিনুল হক জানান, শীত-বর্ষা সবসময় ছাত্রীদের উপস্থিতির হার ৯৭ শতাংশের ওপরে থাকে। বিদ্যালয়ের দেড় শতাধিক ছাত্রী দেশের বিভিন্ন মেডিকেল, পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছে।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. আব্দুল্লাহ আল মাসউদ বলেন, “সাইকেল স্কুল খ্যাত স্কুলটি সরেজমিন আজ দেখলাম। দেখে অনেক ভালো লাগলো। এ বিদ্যালয়ের মেয়েরা শুধু যে ভালো ফলাফল করছে এমন নয়, তারা দূর দূরান্ত থেকে সাইকেল চালিয়ে এসে সমাজে নীরব বিপ্লব ঘটিয়েছে।”
তাসবির ইকবাল (১৫), ঢাকা