মেয়েদের ঋতুস্রাব চালাকালীন অনেক ছাত্রী স্কুলে অনুপস্থিত থাকে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে নারীবান্ধব শৌচাগার নেই। এ সময় তারা বিশেষ সেবা পাবে এমন ব্যবস্থাও নেই। অনেক প্রতিষ্ঠানে তো বিষয়টি নিয়ে শিক্ষকরা খোলামেলা আলোচনাও করেন না। আমরা এসব নিয়েও কাজ করে থাকি।
স্যানিটারি ন্যাপকিন বিষয়ে বিশেষ ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করি এবং শিক্ষকদের অনুরোধ করি বিদ্যালয়ে টয়লেটে যেন ন্যাপকিন ফেলার নির্দিষ্ট স্থান করে দেন।
আমাদের উপজেলায় এখন অনেক পরিবর্তন এসেছে। কিশোর-কিশোরীদের ধারণা পাল্টেছে।
সদর উপজেলার চাঁদের হাট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের কিশোরীদের সাথে ক্রিকেট খেলে তাদের বোঝাতে চেয়েছিলাম, নারীরা আর পিছিয়ে নেই। তারা সমস্বরে আওয়াজ তুলেছিল "আমরা নারী আমরাও সবি পারি।"
সমাজের এই দৃশ্যটা আমার ভালো লাগে। সব কুপ্রথাগুলোকে বিদায় করতে চাই। পরিবর্তনের প্রত্যয় আমার বুকে।
অনেকেই এ ধরণের কাজের সহযোগী হতে চান না এবং অনেকে তো সমর্থনই করে না। তাদের মধ্যে ভালো কাজ করার ইচ্ছা নেই, কিন্তু অন্যে ভালো করলে সেটাকেও স্বাগত জানাতে পারে না।
কিন্তু আমি কাজ করে যাব সমাজের জন্য, দেশের জন্য। আজ ছোট পরিসরে শুরু করেছি। কাল হয়ত জাতীয়ভাবে শুরু করব।
আমি চাই, সকল কিশোর-কিশোরী যদি সঠিক তথ্য জানতে পারে, সচেতন হয়, তবেই তারা নিরাপদ এবং সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হতে পারবে।
ইবনে সাঈদ অঙ্কুর (১৩), নীলফামারী