আমাদের দেশের নারী জাগরণের অগ্রদূত বলা হয় বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনকে। তিনিই তো বাংলার নারীদের ঘর থেকে বের করে নতুনভাবে বাঁচতে শিখিয়েছেন। রোকেয়ার হাত ধরেই নারী শিক্ষার প্রসার ঘটেছিল।
সেই যে নারীর প্রথম চলার শুরু সে পথ রুখবে কে? এখন অফিস, আদালত এমনকি ট্রেন চালক, বিমান চালক,পুলিশ, সেনাবাহিনী ও সাংবাদিকতার মতো চ্যালেঞ্জিং পেশায় নারীরা কর্মদক্ষতার পরিচয় দিচ্ছে।
তবে যখন দেখি নিরাপত্তার দোহাই দিয়ে নারীর স্বাধীনতা হরণ করতে চায়, তখন ভয় হয়। মনে হয় এই অগ্রযাত্রা থেমে যাবে না তো? আমরা পেছনে হাঁটা শুরু করব না তো।
আচ্ছা ঘরে থাকলেই কি নারী নিরাপদ? প্রতিদিন কোনো না কোনো মেয়ে পাশবিক নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। বলতেও লজ্জা হয় এদেশে আজ জন্মদাতার দ্বারা নির্যাতনের শিকার হয় মেয়ে। আমার প্রশ্ন তাহলে ঘর কীভাবে নিরাপত্তা দিল নারীকে?
দুই দিন আগে অনলাইন পত্রিকায় খবর দেখলাম সিরাগঞ্জের বেলকুচিতে কেবল মাত্র মেয়ে হয়ে জন্ম নিয়েছে বলে সদ্য এক শিশুকে গলা টিপে হত্যা করা হয়েছে। এই যুগে এসেও এই ধরনের খবর দেখতে হবে আমি কখনো ভাবতেই পারিনি।
তবে যাইহোক নারীর স্বাধীনতা যেন অটুট থাকে সেইদিকে সরকার ও আমাদের সচেতন থাকতে হবে। নারীর এগিয়ে যাওয়ার পথে দূর হোক সকল বাঁধা বিপত্তি আর প্রসারিত হোক স্বাধীনতা৷
শেখ নাসির উদ্দিন (১৬), টাঙ্গাইল