কয়েকদিন আগে হাসপাতালে গিয়েছিলাম। সেখানে গিয়ে দেখি ছোট বড় অনেকেই ডেঙ্গুতে আক্রান্ত।
যখন আমি তৃতীয় শ্রেণিতে পড়তাম তখন আমার এক ভালো বন্ধু ছিল- নাম তার আনিকা। এরপর আমরা চতুর্থ শ্রেণিতে উঠলাম। দুইজন দুই সেকশনে হওয়ায় প্রত্যেক দিন দেখা হতো না।
সেদিন ছিল বৃহস্পতিবার। ক্লাসে গিয়ে শুনি গত রাত ১০টায় আমার বন্ধু আনিকা মারা গিয়েছে! প্রথমে শুনে বিশ্বাসই করতে পারছিলাম না।
আমাদের শ্রেণি শিক্ষক এসে বললেন, “আনিকা ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছে।’’ এ খবর শুনে আমার সব বান্ধবী আমাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদে।
পরদিন শুক্রবার আমার জ্বর হয়। সোমবার অবদি জ্বরে ভুগি। এজন্য আমি স্কুলে যেতে পারিনি। মঙ্গলবার ক্লাসে গিয়ে দেখি মাত্র ১৪ জন উপস্থিত।
শ্রেণি শিক্ষক জিজ্ঞেস করলেন,“কী ব্যাপার! ক্লাসে এত কম ছাত্রী কেন?”
কেউ বলল, দুজন বন্ধুর ডেঙ্গু হয়েছে। কেউ বলল, পাঁচ-ছয়জন বন্ধু ডেঙ্গু রোগের পরীক্ষা করিয়েছে, রাতে রিপোর্ট দেবে।
এবারের ঈদ যাত্রা এতটাই ডেঙ্গু প্রভাবিত যে হাসপাতালে গিয়েছিলাম ছোটবোনের রিপোর্ট আনতে। তখন এক আন্টিকে বলতে শুনলাম, উনারা ট্রেনে উঠবার পরে উনার ছেলের গায়ে জ্বর দেখে ট্রেন থেকে নেমে হাসপাতালে এসেছেন।
কী আতঙ্কই না ছড়িয়েছে এই ডেঙ্গু। যেহেতু পরিস্কার পানিতে ডেঙ্গু জন্মায়, এজন্য আমাদের সব সময় চেষ্টা করতে হবে যেন কোথাও এক ফোঁটা পানিও জমে না থাকে। ফ্রিজের পেছনে, রান্নাঘরে, বারান্দার টবে, পানি রাখার ড্রামে কোথাও পানি জমা আছে কিনা খেয়াল রাখতে হবে, সব সময় এসব জায়গা পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।
বর্ণ কবির (১০), ঢাকা