পৃথিবীর সব ছেলেরা একবার, মাত্র একবার যদি পিরিয়ডের ৩ দিনের যন্ত্রনা ভোগ করতো তাহলে মেয়েরা নিত্যদিনের
বেঁচে থাকা আর একটু অপমানের হাত থেকে রেহাই পেতো....!
যদি বুঝতো তলপেট চেপে ধরে শরীর উল্টানো
ব্যাথার কান্না কতটা ভয়ঙ্কর তাহলে খুড়িয়ে হাঁটতে দেখে মুচকি হাসি দিতো না।
হাতটা ধরে রাস্তা পার করে দিতো।
যদি টের পেতো কি সাংঘাতিক কষ্ট নিয়ে
একটা মেয়ে মাসচক্রের এই ৫-৬ দিনের সময়টা পার করে! চিটচিটে, গা ঘিনঘিনে একটা অস্বস্তিকর অবস্থা নিয়ে ক্লাস, অফিস, সংসার, মাটিকাটা, ইটভাঙা,সবকিছু রুটিন মেনেই করে যায়।তাহলে
অন্তত এটাকে নিয়ে উপহাস করতো না।
কালচে রক্তের ছাপ শাড়িতে, কামিজে,প্যান্টে দেখলেই খুব মজা লাগে।।হেসে গড়াগড়ি খেয়ে এ ওর
গায়ে পড়ে বলতে শুনেছি___ মামা তোর কি মাসিক চলতেছে? আজকে কয় দিন....?
কিন্তু একটাবারো ভেবে দেখে না, এই সময়টা আসে বলেই, এই কষ্টটা হয় বলেই কিন্তু আমাদের মত সন্তানদের জন্ম হয়।। আর আমরাই এটাকে হাসির খোরাক বানায়।
কোনো দোকান থেকে ন্যাপকিন বা প্যাড
কিনতে দেখলেই পাশে দাঁড়িয়ে থাকা ছেলেটা বলে উঠে,পাউরুটির প্যাকেট নাকি ঐটা,বলেই অট্টহাসিতে গড়িয়ে পড়ে।কিন্তু একটা বার যদি বুঝতো ঐ পাউরুটির মত ন্যাপকিন
বা প্যাড টা ব্যবহার করতে গিয়ে তাদের কতটা বিরক্তিকর অবস্থার ভিতর দিয়ে কাটাতে হয়।
একটা মেয়েকে ন্যাপকিন কিনতে দেখে মজা করছেন,তো...মাত্র দুই ঘন্টা একটা ন্যাপকিন আন্ডারওয়ারে লাগিয়ে বাহির দিয়ে হেঁটে আসলেই বোঝা যেতো সে কত বড় বাঘের বাচ্চা! আমার বড় মায়ের পিরিয়ড হয়েছে বলেই আমার নানীর জন্ম, আমার নানীর পিরিয়ড হইছে বলেই আমার মায়ের জন্ম, আমার মায়ের পিরিয়ড হইছে বলেই আমার জন্ম…।
এটা চক্র!!!
এটাকে নিয়ে ঠাট্টা বা উপহাস করার মত কোন
বিষয় নয়,
সবশেষে পুরুষ হয়েও একটা কথাই বলতে
চাই...।
একজন নারী যে পরিমান শারিরিক কষ্ট বা
যন্ত্রনা ভোগ করে থাকে তার অর্ধেকটা যদি কোনো পুরুষ পেতো তবে বেঁচে থাকার নাম ও
মুখে নিতাম না আর।তাই এটাকে নিয়ে হাসি ঠাট্টা না করে,তাদের দিকে সাহায্যের হাত এগিয়ে দিন,
আর ভুল কিছু বলে থাকলে ক্ষমা করে দিবেন
সকলে।।আর ভুল কিছু বলে থাকলে ক্ষমা করে দিবেন সকলে।।