তবে একটা সময় সরকারি স্কুল, কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়কেই শিক্ষার্জনের উপযুক্ত মাধ্যম হিসেবে গণ্য করা হতো। কিন্তু বর্তমানে শুধু সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানই নয়, পাশাপাশি গড়ে উঠছে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও। ফলে সামর্থ্য থাকলেই শিক্ষার সুযোগ পাওয়া যায়।
দেশের সংবিধানে শিক্ষাকে অনেক গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। সংবিধানের ১৭ নম্বর অনুচ্ছেদে বলা আছে, ‘আইনের দ্বারা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নিরক্ষরতা দূর করিবার জন্য রাষ্ট্র কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। নিরক্ষরতামুক্ত একটি সমাজ ও রাষ্ট্র আজ সময়ের দাবি। যে দেশ শিক্ষায় যত উন্নত তার অর্থনীতিও ততো মজবুত ও দৃঢ়।’
সংবিধানে শিক্ষা শুধু অধিকার নয়, রাষ্ট্রের অবশ্য কর্তব্য হিসেবে বিবেচিত।আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে শিক্ষার ভূমিকা অতুলনীয়। এত সুবিধা সত্বেও দেশের প্রান্তিক শিশুরা প্রাথমিকের গণ্ডিও পার হতে পারে না।
শিক্ষাক্ষেত্রে আমাদের উন্নতি ও আগ্রগতি হলেও, আর্থ-সামাজিক কারণে অনেক বাবা মা সন্তানকে স্কুলে পাঠাতে পারেন না। পড়তে গেলে ভাতের যোগান বন্ধ হয়ে যায়। স্কুল শুরু করেও ঝরে পড়ে অভাবের কারণে।
মাধ্যমিক শিক্ষাস্তর পর্যন্ত বিনামূল্যে বই বিতরণ করা হলেও প্রাথমিক পেরোতে পারেনি যারা তাদের জন্য বইগুলি কোনো কাজে আসে না। তাই সমাজের একটি শ্রেণির মানুষ তাদের সন্তানদের উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করতে পারলেও ঝরেপড়া শিক্ষার্থীদের হার কমছে না।
ইদানীং শুরু হয়েছে সৃজনশীল পদ্ধতিতে পাঠদান। এটি নিয়ে গোড়ায় খানিক জটিলতা থাকলেও এখন সড়গড় হয়ে উঠেছে এ পদ্ধতিতে পড়ালেখা করা।
বাংলাদেশ সরকারের একটা বড় অর্জন, বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষা গ্রহণ। যার ফলে একটু একটু করে নিরক্ষতার হার কমছে। এছাড়াও বছরের প্রথম দিনেই বিনামূল্যে শিক্ষার্থীরা বই হাতে পেয়ে যাচ্ছে। ভালোভাবে লেখাপড়া করতে পারছে।