Opinions Stories About Engagement Reports Join Now
Join U-Report, Your voice matters.
STORY
আমার দেশ বাল্যবিয়ে মুক্ত?
বাল্যবিয়ে অনেকটা কমে গেলেও মফস্বলগুলোতে প্রায়ই চোখে পড়ে এটি।

আমরা পাঠ্যবইসহ পত্রপত্রিকাতে পড়েছি বাল্যবিয়ে একটি সামাজিক ব্যাধি। সাধারণত অল্প বয়সে বিয়ে হওয়াকেই বাল্য বিয়ে বলা হয়।

দেশের আইন অনুযায়ী, প্রাপ্ত বয়সের নিচে বিয়ে হলে তা বাল্যবিয়ে বলে গণ্য হবে। রয়েছে শাস্তির ব্যবস্থাও। উন্নয়নশীল দেশের জন্য এটি খুবই বড় ধরনের একটি হুমকি। কেননা এর নেতিবাচক প্রভাব অনেক দূর ছড়িয়ে পড়ে।

মানসিক চাপ, শারিরীক অসুস্থতাসহ নানা ধরনের প্রভাব সৃষ্টি করে এই অপরিণত বয়সের বিয়ে। সাধারণত অসচ্ছল পরিবারগুলো বাল্যবিয়ের দিকে ঝুঁকে বেশি। বাল্যবিয়েটা বেশি হয় মেয়েদেরই।

পরিবার যখন মেয়ের ভরণপোষণের দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয় তখনই বিয়ে দিয়ে দায়মুক্তি পেতে চান। তবে এখন সামাজিকভাবে বেশ ছোট করে দেখা হয় বাল্যবিয়েকে। নিন্দার দৃষ্টিতে একে বিচার করা হয়।

এটি যে বড় অর্জন, তা না স্বীকার করলেই নয়। তবে অভাবের সংসারগুলো বাধ্য হয়েই বিয়ে দিচ্ছেন। আমার পরিচিত যতজনকে বাল্যবিয়ে হতে দেখেছি, সবার মধ্যেই পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ লক্ষ্য করেছি। তাদের পরিবারের মধ্যেও এই আগ্রহ দেখেছি ।

কিন্তু তারা অসহায়, ইচ্ছা থাকলেও পূরণ করেত পারেননি স্বপ্ন। দাদী-নানী বা এই বয়সী অনেকের কাছেই শুনি তাদের প্রথম সন্তান মারা গেছেন। কারণ বাল্যবিয়েই। শিশু মৃত্যহার আগে বেশি ছিল, এখন কমে গেছে। মূলত বাল্যবিয়ে কমে আসার ফলেই এটা কমেছে।

অপরিণত বয়সে গর্ভধারণ বেশি চিল বলেই শিশু মৃত্যুহার বেশি ছিল। গড় হিসাবটা নিয়ে ইতিবাচক বাংলাদেশকেই দেখি আমি। খুবই আশা জাগায় আমাকে। কিন্তু ওই যে কিছু মানুষ এখনো এর আওতায় আসেনি তাদের নিয়ে দুঃখ হয়। আমার দেশের জন্য চিন্তা হয়।

আগে আমরা প্রতিবাদ করতাম, বাল্যবিয়ে দূর হোক দেশ থেকে। এখন আমরা বলি, অনেকটাই দূর হয়েছে বাকিটাও হোক। একদিন আরও ইতিবাচকভাবে আমার দেশকে বিশ্বের কাছে পরিচিত করে দিতে চাই।


নীলা আক্তার (১৬), টাঙ্গাইল

See by the numbers how we are engaging youth voices for positive social change.
EXPLORE ENGAGEMENT
UNICEF logo